দিনাজপুরে ধর্ষণের শিকার শিশুটি বাড়ি যেতে চায় - Women Words

দিনাজপুরে ধর্ষণের শিকার শিশুটি বাড়ি যেতে চায়

ঘটনার প্রায় দুই মাস পরও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি দিনাজপুরে ধর্ষণের শিকার পাঁচ বছরের শিশু পূজা। এখনো সে একা হাঁটতে পারে না। তবে সে বাড়ি যেতে চাইছে। চিকিৎসকেরাও সম্মতি দিয়েছেন, জটিলতা দেখা না দিলে আর চার-পাঁচ দিন পর ও বাড়ি যেতে পারবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির জন্য গঠিত নয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা আজ বৃহস্পতিবার এ মত দিয়েছেন।

গত ২১ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির প্রজনন অঙ্গে অস্ত্রোপচার হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশরাফ-উল হক বলেন, ‘শিশুটি এখন অনেক ভালো আছে। তবে একা হাঁটতে পারছে না। জয়েন্ট বা ভেতরে কোনো সমস্যা আছে কি না, তা জানার জন্য কিছু পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। আর চার-পাঁচ দিন যদি প্রস্রাবে কোনো জটিলতা দেখা না দেয়, তাহলে ও বাড়ি যেতে পারবে। ও বাড়ি যেতে চাইছে। আজ আমার সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করল। অন্যদের সঙ্গেও ওর আচরণ স্বাভাবিক ছিল।’

প্রসঙ্গত, পার্বতীপুর উপজেলার সিঙ্গীমারী জমিরহাট গ্রামের ওই শিশু বাড়ির সামনে থেকে গত ১৮ অক্টোবর নিখোঁজ হয়। শিশুটিকে খুঁজে না পেয়ে ওইদিন রাতে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। পরদিন ভোরে বাড়ির পাশে একটি হলুদ ক্ষেত থেকে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পার্বতীপুর ল্যাম্প হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ভর্তির চারদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে ভর্তি করা হয়। গত ২৬ অক্টোবর তার অপারেশন করার কথা থাকলেও ক্ষতস্থানে সংক্রমণ থাকায় অপারেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।

এ ঘটনায় গত ২০ অক্টোবর নির্যাতিতা শিশুর বাবা একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে এ ঘটনায় ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। শিশুটি সাইফুলকে বড় জ্যাঠা বা বড় আব্বু বলে ডাকত বলে শিশুটির পরিবার দাবি করে। অপর আসামি আফজাল এখনও পলাতক।

শিশুটির মাথা, গলা, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। শরীরে ছিল কামড়ের দাগ। আর ঊরুতে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার ক্ষত।

সূত্র: প্রথম আলো