টঙ্গীতে ব্রয়লার বিস্ফোরণে নিহত ২২ - Women Words

টঙ্গীতে ব্রয়লার বিস্ফোরণে নিহত ২২

গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরীতে একটি কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডে ২২ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আগুনে পাঁচতলা ভবনটির ওপরের তিনতলার অনেকটাই ধসে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ২০ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আজ (শনিবার) সকাল ছয়টার দিকে ট্যাম্পাকো নামের একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কারখানাটিতে ফয়েল ও কেমিক্যাল–জাতীয় দ্রব্য প্রস্তুত করা হতো বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। সেখানে রাতের শিফটে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা।

জানা গেছে, ভোরে হঠাৎ বিকট শব্দে কারখানার বয়লার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজে সেখানে যায় ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট। বেলা সোয়া ১১টায়ও পাঁচতলা ওই ভবনে আগুন জ্বলছিল। বাতাসের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গাজীপুরের সিভিল সার্জন আলী হায়দার খান জানান, টঙ্গী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এ পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ রাখা হয়েছে। এছাড়াও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি আছেন অর্ধশত।

এদিকে টঙ্গী থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ২৩ জনকে ভর্তি করার পর চার জন মারা গেছেন বলে জানান ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান। ঢামেকে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬ জন।

এ ঘটনায় নিহতদের ১২ জনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন কারখানার শিফট ইনচার্জ সুভাষ (৪৩), জেনারেটর বিভাগের প্রকৌশলী আনিসুর রহমান (৩৮), দারোয়ান হান্নান (৬৫) ও জাহাঙ্গীর (৩৫), ক্লিনার শংকর, অপারেটর রেদোয়ান (৩৫), অপারেটর অ্যাসিস্ট্যান্ট রফিকুল ইসলাম (৩০), জয়নুল (৩২), ইসমাইল, আনোয়ার হোসেন (৪০), আল মামুন (৪৫) ও রিকশাচালক রাশেদ (২৮)।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন উর রশীদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আশেপাশের ভবনগুলোতে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলের আশেপাশে অবস্থান নিয়েছে এবং উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দিয়েছে। যাতে জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনা যায় তার জন্য সচেষ্ট রয়েছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী।