জঙ্গি আস্তানা ঘিরে অভিযান: সন্তানসহ দুই নারীর আত্মসমর্পণ - Women Words

জঙ্গি আস্তানা ঘিরে অভিযান: সন্তানসহ দুই নারীর আত্মসমর্পণ

রাজধানীর আশকোনায় হাজিক্যাম্পের কাছে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে তিনতলা এই বাড়ি ঘিরে অভিযান শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাড়িটি থেকে দুই শিশুকে নিয়ে দুজন নারী আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেনের ভাষ্য, আত্মসমর্পণকারী চারজন হলেন মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি ও সাবেক মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহার শীলা ও তাঁর মেয়ে এবং পলাতক জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা ও তাঁর মেয়ে। বাসার ভেতরে এখনো তিনজন ‘জঙ্গি’ রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন আজিমপুরে অভিযানে নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরির ছেলে।

ছানোয়ার হোসেন জানান, ‘জঙ্গিদের’ কাছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক, গোলাবারুদ, রিভলবার, আত্মঘাতী অস্ত্র (সুইসাইডাল ভেস্ট) রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বলেন, তিনতলা বাড়িটির নিচতলায় ‘জঙ্গি আস্তানা’। সেখানে সাতজন ‘জঙ্গি’ আছেন বলে তাঁদের কাছে গোপন খবর রয়েছে। গতকাল দিবাগত রাত দুইটা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আশকোনা ৫০ নম্বর বাসাটি ঘেরাও করে রাখে। তারা জানতে পারে, জঙ্গিদের কাছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাড়িটি ঘিরে ‘জঙ্গিদের’ আত্মসমর্পণ করতে বলে। এর মধ্যে দুই শিশুসহ চারজন আত্মসমর্পণ করেছে। এ সময় ‘জঙ্গিরা’ পিস্তল ও ছয়টি গুলি জমা দিয়েছে। সবাই ‘নব্য জেমবির’ সদস্য।

ভবনের ভেতরে যাঁরা আছেন, তাঁদের নিরাপত্তার কী হবে, তা জানতে চাইলে আছাদুজ্জামান বলেন, জঙ্গিদের পুলিশ গান পয়েন্টে রেখেছে। যাঁরা ভবনে আছেন, তাঁরা নিরাপদে আছেন।

সকালে এক ব্রিফিংয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিদের কাছে শক্তিশালী গ্রেনেড রয়েছে। তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হচ্ছে। তবে তারা শরীরে গ্রেনেড বেঁধে প্রতিরোধের ঘোষণা দিচ্ছে।

ঘটনাস্থলে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াত যোগ দিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গেছে।

সূত্র: প্রথম আলো