ভারতের কলকাতায় এক ১২ বছরের কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ আর হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে ব্র্যাবোর্ন রোডের ফুটপাথে মা, মামা এবং মাসতুতো এক ভাইএর পাশে শুয়ে ছিল ওই কিশোরী। ভোর তিনটের দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় তার মামার। তিনি তখন দেখেন, ভাগ্নিকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে এক যুবক। তাকে একটি সাদা গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। এর পর গাড়িটি ধর্মতলার দিকে ভীষণ জোরে চালিয়ে দেয় ওই যুবক। এত দ্রুত ঘটনাটা ঘটে যে, মামা চিত্কার করে লোকজন ডাকার আগেই গাড়িটি চোখের আড়ালে চলে যায়।
অপহরণের পরে হেয়ার স্ট্রিট থানায় তাঁরা যোগাযোগ করেন। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাড়িটিকে চিহ্নিত করে পুলিশ। সেটি অ্যাপ-নির্ভর ক্যাব সংস্থা ‘ওলা’র একটি ট্যাক্সি।সেই সংস্থায় যোগাযোগ করে গাড়ির মালিকের নম্বর জোগাড় করে পুলিশ। সেখান থেকে পাওয়া যায় চালকের সন্ধান। এর পর খিদিরপুর এলাকা থেকে ওই গাড়ির চালক গুড্ডু সিংহ এবং তার বন্ধু শঙ্কর সাউকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শঙ্কর সাউ আর গুড্ডু সিং নামে ওই দুই ধৃত দুইজন জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ওই কিশোরীকে বুধবার ভোর রাতে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। প্রথমে ওয়াটগঞ্জ এলাকায় গিয়ে তারা মদ্যপান করে। তারপরে পার্কসার্কাস উড়ালপুলের ওপরে গাড়িতেই ওই কিশোরীকে কয়েকবার ধর্ষণ করে তারা। সেখানেই তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে গুড্ডুরা। সকালবেলায় তার দেহ পূর্ব কলকাতার তপসিয়া এলাকার খালের ওপরে আম্বেদকর সেতু থেকে ফেলে দিয়েছে।
ডুবুরী নামিয়ে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুই অভিযুক্তকেই আদালতে পেশ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবারই দেশের অপরাধ সংক্রান্ত তথ্যপঞ্জি প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি) । সেখানে চেন্নাই ও কলকাতাকে দেশের নিরাপদ শহরগুলির মধ্যে শীর্ষে রাখা হয়েছে। অথচ এই শহরেরই ফুটপাথ থেকে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যা করা হয়েছে, তাতে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পুনরায় প্রশ্ন উঠল।
সূত্র: বিবিসি, আনন্দবাজার