‘আগা খান পুরস্কার’ জিতলেন বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা ও কাশেফ - Women Words

‘আগা খান পুরস্কার’ জিতলেন বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা ও কাশেফ

স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম সেরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের মেয়ে মেরিনা তাবাসসুম। ঢাকার বায়তুর রউফ মসজিদের অনন্য নকশা তাকে এই আন্তর্জাতিক সম্মাননা এনে দিয়েছেন। তাঁর সাথে একই পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের আরেক স্থপতি কাশেফ মাহবুব চৌধুরী। গাইবান্ধার ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের স্থাপত্য তাকে ‘আগা খান ২০১৬’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, আসছে নভেম্বরে আবু ধাবির ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট আল জাহিলি ফোর্টে এবারের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। পুরস্কার বাবদ তারা পাবেন ১০ লাখ মার্কিন ডলার।

বিশ্বের ৩৪৮টি স্থাপত্যকর্ম থেকে জুরিদের বাছাই করা ১৯টি স্থাপনার সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেরিনা আর কাশেফের নাম উঠে আসে গত মে মাসে। চূড়ান্ত বিচার শেষে গতকাল সোমবার আবু ধাবিতে ৬ বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।

বিদেশিদের নকশায় গড়া বাংলাদেশের তিনটি স্থাপত্যকর্ম এর আগে ত্রিবার্ষিক এ পুরস্কার পেলেও মেরিনা ও কাশেফ প্রথম বাংলাদেশি, যারা আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার পেলেন।

মেরিনা ও কাশেফ দুজনেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় লেখাপড়া শেষ করেছেন ১৯৯৫ সালে। পরে তারা একসঙ্গে গড়ে তোলেন আর্কিটেক্ট ফার্ম আরবানা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ ও স্বাধীনতা জাদুঘরের নকশা এই দু’জন যৌথভাবে করেছেন।

aga-khan-award-women-words-02aমসজিদের নকশার চিরায়ত দৃশ্যের বাইরে নতুন এক স্থাপত্য নকশা করেছেন বাংলাদেশের স্থপতি মেরিনা। বাংলাদেশের আর সব মসজিদের মত মেরিনার নকশা করা মসজিদ বায়তুর রউফ মসজিদে কোন গম্বুজ বা মিনার নেই। আটটি পিলারের ওপর নির্মিত এই মসজিদে আলো হাওয়া খেলার যে ব্যবস্থা তিনি রেখেছেনÑতা ই আগা খান পুরস্কারের জুরি বোর্ডের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

aga-khan-award-women-words-03গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মদনেরপাড়া গ্রামে কাশেফের নকশায় গড়ে উঠেছে ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার। মূলত একটি এনজিও ট্রেইনিং সেন্টার। স্থানীয়ভাবে হাতে তৈরি ইট, কাঠ আর পাথরের মিশেল ছাপিয়ে নজর কাড়ে এ ভবনের ঘাসে ছাওয়া সবুজ ছাদ। ইট-সুড়কির সাথে প্রকৃতির মেলবন্ধনই মূলত জুরি বোর্ডের দৃষ্টি কেড়েছে।

এ বছরের আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার পাওয়া অন্য স্থাপনাগুলো হচ্ছে-
চীনের স্থপতি ঝাং কে এর নকশা করা ‘হুটং চিলড্রেনস লাইব্রেরি অ্যান্ড আর্ট সেন্টার। এটি বেইজিংয়ে গড়ে তোলা হয়েছে।
ডেনমার্কের স্থপতি বার্কে ইঙ্গেলস এর নকশা করা সুপারকিলে। এটি কোপেনহেগেনে গড়ে তোলা হয়েছে।
ইরানের স্থপতি লেইলা আরাগিনার নকশা করা গ্রুপতবিয়ত পেডেস্ট্রিয়ান ব্রিজ। এটি ইরানের রাজধানী তেহরানে গড়ে তোলা হয়েছে।
লেবাননের স্থপতি জাহা হাদিদ নকশায় আলিরেজা ব্জোদি- ইসাম ফারেস ইনস্টিটিউট। এটি রাজধানী বৈরুতে গড়ে তোলা হয়েছে।