অর্থ আত্মসাতের মামলায় মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার - Women Words

অর্থ আত্মসাতের মামলায় মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে সংস্থাটি। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে অগ্রণী ব্যাংকের ২২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবদুল হামিদ, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মিজানুর রহমান খান, মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ আটজনকে আসামি করে গত ৩০ জুন মামলা করে দুদক। মামলার অপর আসামিরা অগ্রণী ব্যাংকের জেষ্ঠ কর্মকর্তা।
মামলা করার পরপরই অগ্রণী ব্যাংকের ডিএমডি মিজানুর রহমান খান, উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আখতারুল আলম ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার জামিন পেয়েছেন মিজানুর রহমান খান।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামিরা প্রতারণা ও অপরাধজনক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ৫৫৫ নম্বর প্লটটি মিজানুর রহমানের বৈধ মালিকানায় ছিল না। জমিটির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। এছাড়া ভবন নির্মাণে রাজউক অনুমোদিত বৈধ নকশাও ছিল না। বিতর্কিত ওই জমিতে নির্মাণাধীন একটি ভবনের অস্বাভাবিক নির্মাণ ব্যয় ও আয় দেখিয়ে মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মুন গ্রুপকে ১০৮ কোটি টাকা ঋণ দেয় অগ্রণী ব্যাংক। মঞ্জুর হওয়া ঋণ থেকে পর্যায়ক্রমে ৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

দুদকের অনুসন্ধান–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু মামলার তদন্ত চলাকালে তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ২২০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তে আরও আত্মসাতের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে বলে তাদের ধারণা। অগ্রণী ব্যাংকে মুন গ্রুপের মোট ঋণ ৩০০ কোটি টাকার বেশি।

মিজানুর রহমানের প্রতিষ্ঠান এমআর ট্রেডিং ঢাকার দিলকুশায় সরকারি জমির ওপর ‘সানমুন স্টার টাওয়ার’ নামে ৩০ তলা আরেকটি ভবন তৈরি করেছিল। সে ক্ষেত্রেও পদে পদে অনিয়ম-দুর্নীতি, নির্মাণ আইন, বিধি, নীতিমালা কোনোটাই মানা হয়নি। সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন মিজানুর রহমান। ব্যাংকের পর্ষদ তাঁকে এ পদ থেকে অব্যাহতি দেয়।

সূত্র: প্রথম আলো, বাংলা ট্রিবিউন