অতীত ভুলে সামনে চলো মেয়ে - Women Words

অতীত ভুলে সামনে চলো মেয়ে

আখতারুজ্জামান হিমেল

বিয়েকে ঘিরে প্রতিটি মেয়ে বা নারীর স্বপ্ন থাকে, আকাঙ্খা থাকে। কিন্তু কঠিন বাস্তবতায় কারো কারো স্বপ্ন হোঁচট খায়। স্বপ্ন হোঁচট খেলেও চলা যায়, কিন্তু জীবন হোঁচট খেলে চলে কি?

মেয়ে, তোমার জন্য ঘুঘু-শালিকের দল বর সেজে আসবে। তোমাকে তুলে নিয়ে যাবে। টাকায় কেনা পণ্য ভেবে তৃষ্ণাকাতর হয়ে টক জলের মতো পান করতে চাইবে। চিবিয়ে ভোগ করতে চাইবে তোমার সর্বস্ব। কিন্তু হয়তো কোন অদৃশ্য ভালোবাসার প্রাচীর তাদের আটকে দেবে। ব্যর্থ হয়ে তারা ফিরে যাবে।

যদি জীবনে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার মুখোমুখি হয়ে যাও- মেয়ে তুমি তখন একটুও বিচলিত হয়ো না। নিজেকে অসহায় ভেবো না। বরং তখন নিজেকে খোঁজ মাদার তেরেসার মানবতার মাঝে, নিজেকে জাগ্রত করে তোল নারীজাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কাজের মাঝে। নিজেকে খোঁজে ফিরো ভারতরত্ন ইন্দিরা গান্ধীর মাঝে। হতাশায় নয়, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মতো নিজেকে বিলিয়ে দাও সাহসে, প্রতিবাদে, জনগণের মাঝে। আলোকবর্তিকা হয়ে উঠো, হাজারো প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ঠেলে দেশরত্ন শেখ হাসিনার মতো কোটি মানুষের ভরসা হয়ে ওঠো।

অকালে ভেঙে পড়লে চলবে? তোমাকে যেতে হবে বহুদূর, পাড়ি দিতে হবে বহুকাল। আমাদের সমাজ, সময় কিংবা কাল স্বীকার করুক কিংবা নাই করুক এই প্রকৃতি জানে- পুরুষতান্ত্রিক সমাজ যারা গড়েছে নিজ স্বার্থে, সেই পুরুষরা কিন্তু তোমার গর্ভ থেকেই জন্ম নেয়। তুমি যাকে মাতৃস্নেহে লালন করো, সেই পুরুষই তোমার প্রতি করে দুঃশাসন। তাই তুমি প্রতিবাদী হও, ঘুরে দাঁড়াও। মেধা, মনন, প্রজ্ঞায় কমতি নেই তোমার। শুধু দরকার প্রতিকূল স্রোতের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যাওয়া। দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামতো সেই কবেই বলে গেলেন-

‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’

 

লেখক : কলামিস্ট ও ছাত্রলীগ নেতা