যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। রিভিউ আবেদনের রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ৩০ আগস্ট (মঙ্গলবার) ধার্য করেন আদালত।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে আজ রোববার এই শুনানি শেষ হয়। এরপর রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
শুনানির সময় আজ আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
মীর কাসেমের করা আবেদনের ওপর প্রথম দিনের শুনানি হয় গত বুধবার। এরপর আজ পর্যন্ত তা মুলতবি করা হয়। আজ দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হলো।
মীর কাসেমের রিভিউ আবেদন নাকচ হলে ফাঁসি এড়াতে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গুপ্তঘাতক কুখ্যাত আলবদর বাহিনীর নেতা মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় গত ৬ জুন। এরপর গত ১৯ জুন তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন মীর কাসেম। ১৪টি যুক্তি দেখিয়ে মোট ৮৬ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মীর কাসেমকে ২০১২ সালের ১৭ জুন গ্রেপ্তার করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর দুটি অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড ও আটটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মীর কাসেম ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর আপিল করেন। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে হত্যার দায়ে মীর কাসেমের ফাঁসির আদেশসহ আরও ছয়টি অভিযোগে তাঁর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড বহাল রেখে গত ৮ মার্চ রায় দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটি আপিল বিভাগের সপ্তম রায়।
সূত্র: প্রথম আলো