বিপদ থেকে রক্ষা করায় কুকুরের প্রতি তরুণীর কৃতজ্ঞতা - Women Words

বিপদ থেকে রক্ষা করায় কুকুরের প্রতি তরুণীর কৃতজ্ঞতা

লন্ডনের প্লাউমাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জর্জিয়া ব্রেডলি। বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গ্রিসে গিয়েছিলেন তিনি। প্রাণশক্তিতে ভরপুর হয়ে ফিরবেন ভাবছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে বিচিত্র অভিজ্ঞতা আর ‘ব্যাখ্যাতীত’ ভালোবাসা নিয়ে ফিরলেন জর্জিয়া। সেখানে ঘুরতে গিয়ে দেখা পেলেন এমন এক অচেনা-অজানা সঙ্গীর, যে তার সম্মান ও প্রাণ রক্ষা করেছে।

গ্রিসে ছুটি কাটাতে দিয়ে একদিন ক্রেট শহরে সমুদ্রের ধারে হাঁটছিলেন একাকী। হঠাৎ পথে দুই ব্যক্তি তার সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ পিছু নেওয়ার পর জর্জিয়াকে তাদের সঙ্গে মদ খাওয়ার প্রস্তাব দেয় দুজন। জর্জিয়া রাজি না হলে তার হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন তারা। চারদিকে ফাঁকা, ওই সময়ও কেউ নেই সৈকতে। এই বিপদ কিভাবে সামলাবেন তিনি? এরপর ঘটে যায় আরো অদ্ভুত ঘটনা। এমন সময় কোথা থেকে ছুটে আসে একটা কুকুর। আঁচড়ে-কামড়ে দুই হামলাকারীকে ওখান থেকে তাড়ায় সে। পরে জর্জিয়াকে তার হোটেলের ঘর পর্যন্ত পৌঁছে তবে পিছু ছাড়ে ওই রাস্তার কুকুরটি। এ না থাকলে কী হতো ভাবতেও পারেন না জর্জিয়া। কতো কিছুই তো ঘটে যায়। সম্মান বা প্রাণটা হারানোও কোনো বিচিত্র ঘটনা নয়।

এ ঘটনা কী কখনো ভোলা যায়? লন্ডনে ফিরে জর্জিয়ার মন পড়ে ছিল ওই কুকুরটার কাছেই। রাস্তার কুকুর তাকে রক্ষা করল সেদিন। সিদ্ধান্ত নিলেন ২৫ বছর বয়সী তরুণী, ওই কুকুরটিই তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। তাকে ছাড়া কিভাবে থাকবেন? ফের ৬০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে লন্ডন থেকে গ্রিস উড়ে গেলেন। কিন্তু অত বড় একটা শহরে কোথায় খুঁজে পাবেন একটা রাস্তার কুকুরকে?

আসলে এমন দুই বন্ধুর দেখা না হয়ে কি আর পারে? অবাক করে দিল কুকুরটি। ওই সৈকতে ঠিকই বসে রয়েছে সে। জর্জিয়াকে দেখতে পেয়ে ছুটে আসে। লেজ নেড়ে জর্জিয়ার হাত চেটে দেয়। গ্রিসের যাবতীয় নিয়ম-কানুন-আইন মেনে ওই কুকুরটিকে দত্তক নিয়ে লন্ডন ফিরে আসেন তিনি। ফিরে আসার পর জানতে পারেন কুকুরটি গর্ভবতী। কিছুদিনের মধ্যেই ৬টি ছানার জন্ম দেয় সে। এখন সাত কুকুর নিয়ে আনন্দে দিন কাটছে জর্জিয়ার।

সূত্র: এই সময়