
নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত তিন জঙ্গির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকাল ১১টায় তাদের ময়নাতদন্ত শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ১টার দিকে।
ময়নাতদন্ত শেষে তদন্ত দলের প্রধান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, তিন জঙ্গিরই মাথায় গুলির আঘাত পাওয়া গেছে। তদন্তদলের অন্য সদস্যরা হলেন, ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস এবং কবীর চৌধুরী।
সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘দুই জনের শরীরে স্প্লিনটার ও গুলির চিহ্ন ছিল। তামিম চৌধুরীর শরীরে শুধু গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাথার সামনে দিয়ে গুলি প্রবেশ করে পেছন দিয়ে বেরিয়ে গেছে’।
জঙ্গিদের শরীর থেকে চুল, উরুর মাংস এবং রক্তের নমুনা মহাখালীর রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, আজ রোববার এক ব্রিফিংয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, ভাড়াটেদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে পাইকপাড়ার জঙ্গি আস্তানার বাড়ির মালিক নুরুদ্দীন দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সন্দেহভাজন এক শিবিরকর্মীকে ওই বাড়ির পাশের আরেকটি ভবন থেকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে নিহত তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গির নাম উল্লেখ করে সন্ত্রাস দমন আইনে সদর থানায় মামলা হয়েছে।
মঈনুল হক বলেন, গতকাল শনিবার রাতে ওই বাড়ি থেকে মালিক নুরুদ্দীন দেওয়ানসহ ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নয়জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাড়ির মালিককে। তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে নিহত বাকি দুই জঙ্গির পূর্ণাঙ্গ পরিচয় নিয়ে তাঁরা এখনো নিশ্চিত নন। তাঁদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেলেও পুরোপুরি পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জেলা পুলিশ সুপার আরও জানান, পাইকপাড়ার যে বাড়িতে তিন জঙ্গি ছিলেন, তার পাশের আরেকটি ভবন থেকে ইব্রাহিম খলিল নামের সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। ইব্রাহিম শিবিরকর্মী। তিনিসহ চারজন ওই ভবনে থাকতেন। জঙ্গিদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন, প্রথম আলো